করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আমাদের যে কাজ গুলো করতে হবে। করোনাভাইরাস এ-র ২০ পরামর্শ। বনার্জী দাওয়াখানা
১. সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। করোনাভাইরাস ও মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া।
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্বাম।
২. হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করুন হাতের কাছে টিস্যু না থাকলে নিজের দুই হাতের কনুই ব্যবহার করুন। ব্যবহারিত টিস্যু্ নিদিষ্ট স্থানে ফেলুন।
৩. পরিচিত ও অপরিচিত সকলের সাথে হাত মেলানো বা আলিন করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
৫.প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে সবর্দা মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে সেখানে থুতু ফেলার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। নিজে সুরক্ষা থাকুন অনেকও সহায়তা করুন।
৭. সাবান বা হ্যানড ওয়াশ দিয়ে ঘনঘন হাত পরিস্কার করুন (২০ সেকেন্ড)।
৮. সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিজেকে নিরাপদে দুরত্ব বজায় রাখুনা।
৯. বিদেশ ফেরত বা আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সংস্পর্শ থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলুন, বিদেশ ফেরত কারো সাথে সংস্পর্শ হয়ে গেলে নিজেকে ১৪ দিনের জন্য হোমকোয়ারেন্টিনে থাকুন।
১০. বাসায় পৌঁছে নিজের কাপড় গুলোকে সাথে সাথে পরিবর্তন করুন এবং কাপড় গুলো পরিষ্কার করুন।
১১. ব্যবহারিত জুতা ঘরের বাইরে রাখুন।
১২. একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন নিজেকে নিরাপদ করুন, কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্বে অবস্থান করুন।
১৩. সব ধরনের খাবার ভালো ভাবে তাপমাত্রায় রান্না করে তারপর খাবেন।
১৪. সকল প্রকার ঠান্ডা খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। বেশি বেশি গরম পনির সাথে লেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন, গোসলের পর্বে পানির সাথে ডিটল মিশ্রিত পানি দ্বারা গোসল করুন, এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
১৫. জনসমাগম এড়াতে বাজার গার্মেন্ট মন্দির গির্জা বৌদ্ধমন্দির সকল ধরনের উপাসনালয় যাওয়া থেকে বন্ধ করুন আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মজিদ যাওয়া বিরত রাখুন।
১৬. গণপরিবহন পরিহার করুন। করোনায় বেশি প্রয়োজন হলে মেডিক্যাল এম্বুলেন্স সাথে যোগাযোগ করুন কিংবা নিজের গাড়ী ব্যবহার করত পারেন।
১৭. নিজের ব্যবহার্য খাবার এবং জিনিসপত্র একে অন্যর সাথে শেয়ার করবেনা।
১৮. সম্ভব হলে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ টি করে ক্ষুর্মা খেজুর খাবেন সাথে অন্তত ৩০ মিনিট রোদে থাকুন।
১৯. লিফ্টে দাঁড়ানোর সময় একে অপরের বিপরীত মুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।
২০. একই ঘরের বিছানায় ঘুমানোর সময় একে অপরকে বিপরীত মুখী হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।